জেনে বা না জেনে আপনি যখন কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করছেন বা কোনো ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইন ইন করছেন, তখন এভাবেই আপনার তথ্য নিয়ে টেক কোম্পানিগুলোর অজানা ফাঁদে পা দিচ্ছেন।
তথ্য প্রযুক্তির বড় বড় কোম্পানির প্রাইভেসি পলিসি এবং শর্তাবলী এমন ভাষায় লেখা, যা পুরোপুরি বুঝতে দরকার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা। এসব শর্তাবলির কথামালা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার তথ্য যে কতভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, দেখে আপনি চমকে উঠতে পারেন!
কীভাবে হচ্ছে
ট্র্যাকার
ওয়েবসাইট ডিজাইন করার সময় ডেভেলাপাররা নানারকম ট্র্যাকার ব্যবহার করে থাকেন। কোনো কোনোটি করতে হয় বাস্তব প্রয়োজনেই। যেমন, সাইটের ট্রাফিক ভলিউম বা ব্যবহারকারীর সংখ্যা জানা। কিন্তু এর বাইরে আরো অনেক ট্র্যাকার এবং টুল আছে যা দিয়ে কোম্পানিগুলো সংগ্রহ করতে পারে ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্য, যেমন, কারা এরা, কোথায় থাকে, কী করে, বয়স কত, কী পড়ছে বা কোন বিষয়ে আগ্রহ বোধ করছে ইত্যাদি। ২০১০ সালে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক গবেষণায় দেখা যায়, আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ৫০টি ওয়েবসাইটের গড়ে ৬৪টি করে ট্র্যাকার রয়েছে। উদ্দেশ্য? আর কিছুই নয়- সংগৃহীত তথ্যগুলোকে পণ্য হিসেবে বিক্রি করা। সেটা বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে হতে পারে, কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে হতে পারে, এমনকি হতে পারে সরকারের কাছেও।
ফ্রি ইমেইল সার্ভিস
জিমেইলের মতো ফ্রি ইমেইল সার্ভিসগুলোকে চুটিয়ে ব্যবহার করছে পৃথিবীর কোটি কোটি সাধারণ মানুষ। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার ইনবক্স স্ক্যান করে এখান থেকে সব তথ্য হাতিয়ে নিতে কোম্পানিটির এক লহমাও সময় লাগবে না?ভালোমানুষির ছদ্মাবরণ
টুইটারে আগে ‘ডু নট ট্র্যাক ইনিশিয়েটিভ’ বলে একটা পলিসি ছিল যার উদ্দেশ্য ছিল আপনার অনলাইন গতিবিধিকে টুইটার ফলো করবে না- এ মর্মে একটা প্রতিশ্রুতি। কিন্তু ২০১৭ সালে টুইটার ঘোষণা করে যে ‘ডু নট ট্র্যাক ইনিশিয়েটিভ’ পলিসি থেকে তারা সরে আসছে। তার মানে টুইটার এখন আইনসিদ্ধভাবেই আপনার ইন্টারনেট গতিবিধিকে ফলো করছে।
নানা ধরনের অ্যাপস
স্মার্টফোন মানেই আপনার মোবাইলে একগাদা এপ্লিকেশন বা অ্যাপ আপনি ভরে রেখেছেন। আপনি কি জানেন, এই অ্যাপগুলোর বেশিরভাগই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিচ্ছে শুধু নয়, বিক্রি করে দিচ্ছে তৃতীয় কোনো কোম্পানির কাছেও!যুক্তরাষ্ট্রের দুজন গবেষক নার্সেও ভ্যালিনা রদরিগেজ এবং শ্রীকান্ত সুন্দারসান ২০১৭ সালে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সেখানে বলা হয়, ১০টির মধ্যে ৭টির বেশি স্মার্টফোন অ্যাপস আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দিচ্ছে তৃতীয় কোনও পক্ষের কাছ। তারা বলেন, "যখন মানুষ নতুন কোনো অ্যান্ড্রয়েড বা আইও-এস অ্যাপ ইন্সটল করে তখন নানারকম শর্ত আসে সম্মতি চাওয়া হয়। যার মধ্যে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের অনুমতি প্রার্থনাও আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ না পড়ে এগুলোতে ওকে করে দেয়। আর এর মধ্য দিয়ে অ্যাপটিকে সে দিয়ে দেয় তার ফোনের অনেক তথ্যে প্রবেশাধিকার! যেমন, বন্ধুদের সাথে তার কথা বা এসএমএসের ট্র্যাক, পরিবারের সদস্যদের ফোন নাম্বার, মোবাইলের ছবি-ভিডিও এমনকি আর্থিক তথ্যও! অবশ্য এটাও ঠিক যে, যথাযথভাবে কাজ করার স্বার্থে কিছু কিছু তথ্য অ্যাপসগুলোর প্রয়োজনও হয়। যেমন, জিপিএস ডাটা ব্যবহার করে লোকেশন খুঁজে বের করতে না পারলে লোকেশন ম্যাপ ঠিকমতো কাজ করতে পারবেনা। কিন্তু তথ্য নেয়ার অনুমতি পাবার পর অ্যাপ ডেভেলপার সে তথ্য যে-কারো সাথে শেয়ারও করতে পারে। তখন সেই তৃতীয় পক্ষও আপনাকে ট্র্যাক করতে পারবে যে আপনি কোথায় আছেন, কত দ্রুত সরে যাচ্ছেন বা আপনি কী করছেন।"
হাজার হাজার শব্দের শর্তাবলি
অনলাইন অ্যাপগুলোর প্রাইভেসি পলিসি থাকে হাজার হাজার শব্দে লেখা এবং একেক পণ্যের জন্যে একেকরকম! বিবিসির এক গবেষণায় দেখা যায়, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক যদি এসব প্রাইভেসি পলিসি বা নানা শর্ত পড়তে চান, তার গড়ে অন্তত ৪০ মিনিট সময় লাগবে। তাহলে কয়জন সেটা পুরোটা পড়বে!২০১১ সালে ব্রিটিশ আরেক জরিপে দেখা গেছে, ইন্টারনেটে পণ্য বা সেবা কেনার সময় মাত্র ৭% গ্রাহক অনলাইন টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস পড়েন। বাকি ৯৩ ভাগই সেটা পড়ে দেখার প্রয়োজনও বোধ করেন না। মজার ব্যাপার হচ্ছে, 'অ্যাপল' বলছে এসব শর্তাবলি অপ্রাপ্ত বয়স্কদেরকে পড়তে হবে তাদের বাবা-মা কে সাথে নিয়ে। তো একজন পূর্ণ বয়স্কেরই যদি ৪০ মিনিট লাগে, তাহলে ১৩ বছর বয়সী একটি শিশুর অবস্থা কী হবে ভেবে দেখুন তো!
কখন কোথায় থাকছি
আপনি কি ভাবছেন, ‘লোকেশন’ অপশন বন্ধ করে রেখে এটা আপনি ঠেকাবেন? সম্ভব নয়। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির একটি দল পরীক্ষা করে দেখেছে, লোকেশন, জিপিএস এবং ওয়াইফাই বন্ধ রাখার পরও একটি মোবাইল ফোনকে ট্র্যাক করে তার অবস্থান তারা বের করতে পেরেছে!
যেমন, ফেসবুক। স্মার্টফোনের জিপিএস ছাড়াই কিন্তু এই অ্যাপটি আপনার অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। ফেসবুকে আপনি যেসব 'চেক ইন' দিচ্ছেন বা যেসব 'ইভেন্টে' যোগ দিচ্ছেন, তা থেকে এবং আপনার আইপি এড্রেস দেখে তারা অনুসরণ করে আপনাকে।
একই কাজ করে টুইটারও। আপনার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে তথ্য জানতে চায় তারাও। যদিও এই তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা নানা যুক্তি দিয়ে থাকে।
কোড লাইব্রেরি
অর্থ এবং সময় বাঁচাতে নিজেরা পুরোটা না করে বিভিন্ন ডিজিটাল লাইব্রেরি কোম্পানি থেকে তথ্য কিনে নেয়াটাই অনেক সময় পছন্দ করে সাইট এবং অ্যাপ ডেভেলপাররা। তার মানে আপনার লোকেশন চাচ্ছে যে অ্যাপটি এবং ফোনের কন্টাক্ট নাম্বার চাইছে যে অ্যাপটি - দুজনই হয়তো একই ডিজিটাল লাইব্রেরি ব্যবহার করছে! ফলে এসব ডিজিটাল লাইব্রেরিতে প্রতিনিয়ত জমা হচ্ছে স্পর্শকাতর সব তথ্য! এমনকি আপনার কোনো অনুমতি ছাড়াই হয়তো এসব লাইব্রেরিতে তৈরি হচ্ছে আপনার বিস্তারিত তথ্য-সমেত ডিজিটাল প্রোফাইল!তথ্য সংগ্রহ শুধু নাম বয়স বা অবস্থানেই সীমিত না
এই তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারটা কেবল আপনার নাম, বয়স বা অবস্থানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। 'টিনডার' বলছে তারা আপনার ফোনের অ্যাক্সেলোমিটার (আপনার চলাফেরার তথ্য জানা যায় যা থেকে), জাইরোস্কোপ (আপনি কোন অ্যাঙ্গেলে ফোন ধরে আছেন, সেই তথ্য জানা যায় যা থেকে) এবং কম্পাস থেকেও তথ্য নেয়। যদিও এসব তথ্য তাদের কী কাজে লাগে সেটা তারা বলে নি!ফেসবুক আপনার মুছে ফেলা সার্চ অপশনের তথ্যও রাখছে
'ফেসবুক' ব্যবহারকারীদের সুযোগ রয়েছে তাদের অনুসন্ধানের তথ্য মুছে ফেলার। কিন্তু ফেসবুক সেসব তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে নষ্ট করছে না। অন্তত ছয় মাস ব্যবহারকারীর অনুসন্ধান বিষয়ক তথ্য তারা রেখে দেয়।অ্যাপ বন্ধ রাখলেও গোয়েন্দাগিরি বন্ধ থাকছে না
এমনকি ফেসবুক বাদে আপনি যখন আপনার মোবাইল দিয়ে অন্য কোনো সাইট ব্রাউজ করছেন, সেটার তথ্যও ফেসবুক সংগ্রহ করতে পারে। পাঠাতে পারে বিজ্ঞাপনদাতা, অ্যাপ ডেভেলপার এবং প্রকাশকদের কাছে।লিংকড ইন আপনার ব্যক্তিগত মেসেজগুলোও স্ক্যান করে
আপনি যদি মনে করে থাকেন যে আপনার ব্যক্তিগত মেসেজগুলো আসলেই 'ব্যক্তিগত', তবে ভুল। 'লিংকডিন' তাদের প্রাইভেসি পলিসি অনুসারে স্বয়ংক্রিয় মেসেজ স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। 'টুইটারও' আপনার মেসেজ সংগ্রহ করে। যদিও তাদের সাফাই হচ্ছে, আপনাকে বুঝতে এবং প্রতিরক্ষা (!) দিতেই তারা এটা করে।
কারা ব্যবহার করে এসব তথ্য?
মূলত বিভিন্ন থার্ড পার্টি কোম্পানি এসব তথ্য ব্যবহার করে থাকে। হয়তো
সাম্প্রতিক কোনো মেডিকেল টেস্টের তথ্য বিক্রি করে দেয়া হয় কোনো ওষুধ
কোম্পানিকে, যা দেখে সে এসব গ্রাহকের কাছে পাঠাবে তার ওষুধের তথ্য। হয়তো
সাম্প্রতিক কোনো বিদেশ ভ্রমণের তথ্য চলে যাবে এয়ারলাইন্স বা ট্রাভেল
এজেন্সির কাছে, যাতে তারা তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন ঐ কাস্টমারকে দেখাতে পারে!তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টির হাতে এই তথ্য তুলে দেয়ার সুযোগ তারা অনেক সময় তাদের পলিসির মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। যেমন, আমাজন। ব্যবহারকারীদের তথ্য তারা তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টির সাথে বিনিময় করতে পারে, এই শর্ত অ্যামাজন তার প্রাইভেসি পলিসিতেই রেখেছে।
আবার আপনি যখন নির্দিষ্ট কোনো অ্যাপ্লিকেশনের শর্ত মেনে তা ব্যবহার করতে রাজী হন, আপনি কেবল সেই কোম্পানির হাতে আপনার তথ্য তুলে দিচ্ছেন না। তারা এই তথ্য আবার শেয়ার করছে তাদের সহযোগী কোম্পানি বা অ্যাপের সঙ্গেও।
যেমন, ডেটিং অ্যাপ 'টিনডার' তার সদস্যদের সংগ্রহ করা নানা তথ্য আবার একইধরনের অন্যসব ডেটিং সাইটের সাথেও বিনিময় করে। 'ওকেকিউপিড', 'প্লেনটি অব ফিস' বা 'ম্যাচ ডট কম'-এর মতো সাইটগুলো 'টিনডার' ব্যবহারকারীদের তথ্য পেয়ে যাচ্ছে।
গ্রাহক সেবা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিজ্ঞাপনের জন্যেই এমনটি করা হয় বলে জানিয়েছে 'টিনডার'।
যেমন 'লিংকডিন'-কে যখন ২০১৬ সালে মাইক্রোসফট কিনে নিলো, তখন থেকে এর গোপনীয়তার নীতিতে যুক্ত করা হলো যে মাইক্রোসফটের অন্য পরিসেবা থেকেও তথ্য ব্যবহার করা হবে।
আসলে পৃথিবীতে ফ্রি বলে কিছু নেই। বিনামূল্যে এসব অ্যাপ ডাউনলোড করে আপনি আসলে আপনার নিজের, পরিবারের বা বন্ধুদের তথ্য বিনিময় করলেন।
কী কাজে লাগে এসব তথ্য?
ফোনের এসব তথ্য নিয়ে বিভিন্ন অ্যাপ একেকজন ব্যক্তির ডিজিটাল প্রোফাইল
তৈরি করছে যাতে করে তার পছন্দ অপছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য প্রস্তাব করা
যায়। টাকার বিনিময়ে অ্যাপ নির্মাতা কোম্পানি থেকে এসব তথ্য তখন কিনে
নিচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি। তারপর গ্রাহক অনুযায়ী, তাদের চাহিদা
অনুযায়ী পণ্য অফার করছে।ধরা যাক আপনি হয়তো ইলেকট্রনিক পণ্য পছন্দ করেন, তখন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক কোম্পানির পক্ষ থেকে আপনার কাছে অফার আসবে। অথবা আপনি বেড়াতে ভালোবাসেন, তখন বিভিন্ন ট্রাভেল কোম্পানি বা এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে নানা আকর্ষণীয় প্রস্তাব পেতে থাকবেন।
যখন আমরা মোবাইলে একা কাজ করি, ফেসবুক বা টুইটারে লিখি, তখন আসলে আমরা নিজেদের মতো করেই সেখানে কাজ করি। ফলে সেখানে প্রত্যেকের একেবারে নিজস্ব চরিত্রের ছাপ থেকে যায়। আর এর ফলে আমাদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়ে যায় এসব অ্যাপস। আর ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে এলগরিদম ব্যবস্থাও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই এখনো এসব ক্ষেত্রে তথ্য সুরক্ষার জন্য আইন তৈরি হয়নি। কেউ জানেনও না এসব তথ্য কোথায়, কার কাছে, কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রতিকার
ফেসবুকে আপনার প্রোফাইলটাকে গোছান
ফেসবুক আপনাকে সব তথ্য ডাউনলোড করার অপশন দেয়। এর মধ্যে আপনার ছবি থেকে শুরু করে এ যাবত যত মেসেজ আপনি আদান-প্রদান করেছেন, সবকিছু। যদি এসব তথ্যের কপি পেতে চান, তাহলে জেনারেল একাউন্ট সেটিং এ যান। সেখানে ডাউনলোডে ‘কপি অব ইউর ফেসবুক ডাটা'তে ক্লিক করুন। ডাটা আপনার ইমেল ঠিকানায় চলে যাবে।জেনারেল একাউন্ট সেটিং থেকে আপনি 'অ্যাপস' এ ক্লিক করে দেখতে পারেন কোন অ্যাপসগুলি অপ্রয়োজনীয়। এগুলোকে ডিলিট করতে পারেন। হয়তো বহু বছর আগে ফেসবুকে একটি কুইজ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। সেই অ্যাপটি হয়তো আপনার অনেক তথ্য সংরক্ষণ করে রেখেছে।
এরকম কোন অ্যাপ ডিলিট করার আগে দেখে নিতে পারেন, আপনার সম্পর্কে কত কিছু এই অ্যাপ জানে। আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন!
এছাড়াও আপনাকে ট্যাগ করা হয়েছে এরকম বহু ছবি থেকেও নিজেকে আন-ট্যাগ করতে পারেন।
প্রোফাইল পেজে গিয়ে অ্যাকটিভিটি লগ ভালো করে দেখুন। স্ক্রল করে যত ছবি আর পোস্টে আপনাকে ট্যাগ করা হয়েছে সেগুলো দেখুন। আপনার অপছন্দের ছবি আর পোস্ট ডিলিট করুন।
গুগলের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত থাকুন
এমন সম্ভাবনা খুব বেশি যে আপনি প্রতিদিন অন্তত একবার গুগলের কোনো না কোন কিছু ব্যবহার করেন।বিশ্বের আর যে-কোনো কোম্পানির চেয়ে গুগল আপনাকে অনেক ভালোভাবে চেনে।
আপনার গুগল একাউন্টে লগ ইন করুন। আপনার লোগোর ওপর ক্লিক করুন। এরপর প্রাইভেসি চেক আপ পেজে যান।
সেখানে তিন নম্বর ধাপে পার্সোনালাইজ ইউর গুগল এক্সপেরিয়েন্সে যান। এর মাধ্যমে গুগলের নিয়ন্ত্রণ আপনি নিজের হাতে নিয়ে নিতে পারেন। ভবিষ্যতে গুগল আপনার কোন তথ্য 'লগ' করবে, তার সীমা আপনি ঠিক করে দিতে পারেন।
আর আপনার কী কী তথ্য গুগলের কাছে আছে, সেটা জানতে চাইলে এই লিংকটিতে যেতে পারেন: http://google.com/takeout
আপনার অবস্থানের তথ্য যদি না জানাতে চান
প্রথমেই জেনে নিন আপনার লোকেশনের হিস্ট্রি-অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
Google Maps > menu > Your timeline. Select individual items for more detail.
আইফোন
Settings > Privacy > Location Services > scroll down and select System Services >scroll down and select Frequent/Significant Locations. Select individual items for more detail.
মোবাইল/ডেস্কটপ ব্রাউজার
visit: https://www.google.com/maps/timeline?pb
যদি আপনি থার্ড পার্টি অ্যাপসকে আপনার ওপর নজরদারি করতে দিতে না চান তাহলে যেখানে গিয়ে সেটিং বদলে দিন:
• Android: Settings > Apps > App permissions > Location.
• iPhone: Settings > Privacy > Location Services > manage location access on a per-app basis.
প্রাইভেট ব্রাউজার ব্যবহারের চেষ্টা করুন
তবে গুগল, ফায়ারফক্স এবং সাফারিতে প্রাইভেট বা 'ইনকগনিটো' ব্রাউজিং মডের সুযোগ আছে। এই মডে আপনার ব্রাউজিং হিস্ট্রি, কুকিজ, টেম্পোরারি ফাইল এবং ওয়েব এন্ট্রি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যাবে।
সতর্ক হোন অ্যাপ ডাউনলোড করার সময়
আসলে কি আপনার এতগুলো অ্যাপস দরকার!
আপনি কি জানেন আপনার ফোনে কত রকমের অ্যাপস আছে? অনুমান করুন তো? এরপর নিজে গুনে দেখুন।যা ভেবেছিলেন তার চেয়ে বেশি? কোনটা রাখবেন কোনটা ডিলিট করবেন সেই সিদ্ধান্ত নেয়া সত্যিই কঠিন। তবে নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনাকে সাহায্য করবে:
• এটা কি আপনার আসলেই দরকার?
• কবে আপনি এটি শেষ ব্যবহার করেছেন?
• এই অ্যাপটি কী ডাটা সংগ্রহ করে?
• এই অ্যাপটি কাদের?
• আপনি কি তাদের বিশ্বাস করেন?
• আপনি কি তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতি সম্পর্কে জানেন?
• এসব তথ্যের বিনিময়ে আপনি নিজে কি সুবিধা পাচ্ছেন?
• এখন হয়তো আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন অ্যাপগুলো ডিলিট করা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment